স্বদেশ ডেস্ক:
বাংলাদেশ থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া পি কে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তকে ১১ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার নগদ দায়রা আদালত।
১০ দিনের রিমান্ড শেষে আজ শুক্রবার আদালতের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে তোলা হয় তাদের। এসময় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী আদালতের কাছে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন জানান। অন্যদিকে অভিযুক্তদের আইনজীবী সোমনাথ ঘোষ ও আলী হায়দার চারদিনের জেল হেফাজতের আবেদন জানান।
শুনানি শেষে ১১ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৌভিক ঘোষ। সেক্ষেত্রে আগামী ৭ জুন ফের অভিযুক্ত সকলকে আদালতে তোলা হবে।
তবে তদন্তের স্বার্থে কারাগারে গিয়েই ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফর্সমেন্ট দিরেক্টরেটের (ইডি) কর্মকর্তারা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন, সেইসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের ওই বয়ানও রেকর্ড করা হবে।
আজ দুপুর ১ টায় নাগাদ ইডির আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে বেরিয়ে কলকাতা নগর দায়রা আদালতের দিকে রওনা হয় পিকে হালদারের ভাই ও তার চার সহযোগী- প্রানেশ কুমার হালদার, স্বপন মৈত্র, উত্তম মৈত্র এবং ইমন হালদার। অন্যদিকে আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের নারী সেল থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয় নারী অভিযুক্ত শর্মী হালদারকে।
গত ১৪ মে অশোকনগরসহ পশ্চিমবঙ্গের জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ইডি। এরপর প্রথম দফায় ৩ দিন এবং দ্বিতীয় দফায় ১০ দিনের ইডি রিমান্ডের নির্দেশ দেন আদালত। গত কয়েক দিন ধরে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। জানা গেছে, শুধু অশোকনগর বা পশ্চিমবঙ্গ নয়, পি কে হালদার ও তার সহযোগীরা গোটা ভারতে প্রতারণার জাল ছড়িয়েছিলেন। তাদের জেরা করে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিরও হদিস পাওয়া গেছে। যদিও সেই আয়ের উৎস পি কে হালদার বা তার সহযোগীরা কেউই দেখাতে পারেননি। কলকাতা ও এর উপকণ্ঠে এমন ১৩ টি সংস্থার খোঁজ মিলেছে যেগুলো পিকে হালদার বা তার সহযোগীদের হতে গড়া।
ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, পি কে হালদারকে ১৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমন কিছু তথ্য প্রমাণ হাতে এসেছে যাতে প্রমাণিত হয়েছে সে ও তার সহযোগীরা ভারতের বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণার জাল ছড়িয়েছিলেন। তাদের জেরা করে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু সেই আয়ের উৎস তারা দেখাতে পারেননি।